ঢাকা , শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ , ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বাড্ডায় কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষে নিহত ১ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল খরচেও কমানো যাচ্ছে না নানামুখী আতঙ্ক রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা সেই শিশু আছিয়া না ফেরার দেশে ধর্ষণে আতঙ্ক -উদ্বেগ ভারতকে অযাচিত বিভ্রান্তিকর মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে বলল ঢাকা প্রধান উপদেষ্টা চীন সফরে যাচ্ছেন ২৬ মার্চ সালমান এফ রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা খরায় পুড়ছে চা-বাগান উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা ইফতারিতে দই-চিড়ার জাদু একরাতে দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা এলাকায় আতঙ্ক স্বাভাবিক নিত্যপণ্যের বাজার, সংকট সয়াবিনে মামলা থেকে স্বামীর নাম বাদ দেয়ার কথা বলে স্ত্রীকে ধর্ষণ ছেঁউড়িয়ায় শুরু লালন স্মরণোৎসব দোহাজারীতে বাসচাপায় ৩ জন নিহত হেনস্তার পর ছাত্রীকে ফেলে দিলো দুর্বৃত্তরা ৫৬০ মডেল মসজিদ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ভ্যাট দেয় না বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরনের কাপড় টিভি ফ্রিজ খাট টাকা সব পুড়ে শেষ বস্তিতে আগুন ঢাকা মেডিকেলের আউটডোরে চিকিৎসা বন্ধ

যারা বিএনপির বিরোধিতা করছেন তারাই জিয়াবাদের আবিষ্কারক-আমির খসরু

  • আপলোড সময় : ২৬-০১-২০২৫ ১১:১২:৪৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০১-২০২৫ ১১:১২:৪৪ পূর্বাহ্ন
যারা বিএনপির বিরোধিতা করছেন তারাই জিয়াবাদের আবিষ্কারক-আমির খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যারা বিএনপির বিরোধিতা করছে তারাই জিয়াবাদের আবিষ্কারক। তাদের উদ্দেশ্য ভালো না। বিএনপি কখনও জিয়াবাদ আবিষ্কার করতে পারেনি। আমরা জিয়াউর রহমানকে কোনোদিন মহামানব বানাইনি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে কখনও জিয়াউর রহমানের মূর্তি বানিয়ে রাস্তায় বসায়নি। কোনও বিশিষ্ট জায়গায় জিয়াউর রহমানের পোস্টার টাঙায়নি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আমির খসরু বলেন, জিয়াউর রহমানকে আমরা দলীয় চর্চার মধ্যে আলোচনা করেছি। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিএনপি তিনবার ক্ষমতায় থাকতে আমরা জিয়াউর রহমানকে মূলধন করে রাজনীতি করিনি। যারা জিয়াবাদ আবিষ্কার করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্য ভালো না। তিনি আরও বলেন, বিএনপির জন্মই হয়েছে সংস্কারের জন্য। বিএনপির জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত সংস্কার হয়েছে। বাংলাদেশের যত ধরনের সংস্কার হয়েছে, সেটির ৯০ শতাংশ করেছে বিএনপি। কিন্তু এখন অনেকে আমাদের সংস্কারের সবক দিচ্ছেন। খালেদা জিয়ার ‘ভিশন-২০৩০’ এর কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ছয় বছর আগে খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ এর মাধ্যমে সংস্কারের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য– এগুলো ছয় বছর আগে খালেদা জিয়া বলেছেন। শেখ হাসিনা পরবর্তী যে বাংলাদেশ হবে সেটাকে মাথায় রেখে খালেদা জিয়া কথাগুলো বলেছিলেন। এই সংস্কারগুলো দরকার হবে আগামীর বাংলাদেশে। আজ তারা আমাদের কথাগুলোই আমাদের বলছেন। আবার সংস্কারের সবক দিচ্ছেন। এর থেকে দুঃখজনক কিছু হতে পারে না। তিনি বলেন, প্রফেসর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে যারা সরকার গঠন করেছেন, বাঙালি জাতি, সব রাজনৈতিক দলের সমর্থনে এ সরকার গঠিত হয়েছে। এ সরকারকে আমরা সমর্থন দিয়ে যাবো। কারণ এ সরকারের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতায় আসবে। এ জন্যই আমরা সবাই এ সরকারকে সমর্থন করে সহযোগিতা করছি। এর বাইরে আর কিছু নয়। যারা সরকার পরিচালনা করছেন, তারা প্রতিটি পদক্ষেপে, প্রতিটি কথা বলার আগে এই কথা মাথায় রাখবেন। তাহলে আর কোনও সমস্যা হবে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, যদি কোনও উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বাংলাদেশের জনগণের মালিকানার, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে অন্য কোনও পরিকল্পনা থাকে, সেটা ভালো হবে না। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সমর্থন থাকবে। কিন্তু এর বাইরে কিছু করতে চাইলে সমর্থন বেশিদিন থাকার কথা না। জাতীয় ঐক্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করে আমির খসরু বলেন, বাংলাদেশ যে গর্তের মধ্যে পড়েছে, এখান থেকে বের হতে হলে একটা জাতীয় ঐক্য আমাদের গড়ে তুলতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতিকে এই গর্ত থেকে বের করতে হবে। তবে নির্বাচনকে বাদ দিয়ে কোনও গণতন্ত্র আসবে না। জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ড. মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স